Header Ads

এক স্কুলের সব পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল

 এক স্কুলের সব পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল



ঠাকুরগাঁওয়ের জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বোর্ডের ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে  এখৱ পরীক্ষার্থীদের। আর তা সংশোধন করার জন্য প্রত্যেকের কাছে টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 


এক স্কুলের সব পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল


সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ১২৪ জন শিক্ষার্থী। তবে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল হয়েছে। ছেলে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে মেয়ের ছবি। আর অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশন কার্ডে কোন  ইমেজ না দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার নতুন করে সংশোধনের জন্য বোর্ডে তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়। আর সংশোধন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে ২০০ করে টাকা চাওয়া হয়। 




এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, জুয়েল রানার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে তার বান্ধবীর ছবি দেওয়া হয়েছে। ভুল করল বোর্ড আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখন শিক্ষার্থীদের কাছে সংশোধন ফি চাওয়া হচ্ছে। এটি কেমন নিয়ম। তাদের ভুলের মাশুল আমরা কেন গুনব এমন টাই বলছে শিক্ষার্থীরা৷


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন ভুল করলেন তারা অথচ আমাদের বলা হচ্ছে টাকা না দিলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হবে না। এটা কেমন কথা। আমরা এর সঠিক সমাধান চাই। আমরা কোনো ধরনের টাকা-পয়সা দিতে পারব না। 


মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলায়মান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য পাঠিয়েছি। বোর্ড ভুল করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এবারের পরীক্ষার্থী ১২৪ জন, সবার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল হয়েছে। ভুল সংশোধনের জন্য আবার কাগজগুলো পাঠানো হয়েছে বোর্ডে। আর বোর্ডে সংশোধনের জন্য ২০০ টাকা করে লাগে। সেটির জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। অনেকে দিয়েছে আর অনেকে দেয়নি। তবে সংশোধনীর নতুন রেজিস্ট্রেশন কার্ডগুলো আমাদের হাতে চলে এসেছে। 


প্রতিষ্ঠানের ভুলের জন্য  শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন কোনো বিষয় এখন পর্যন্ত জানি না। এখানে যোগদান করার মাত্র কয়েকদিন হলো। তবে দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  



No comments

Powered by Blogger.