Header Ads

সরকারি স্কুলের ক্লাসরুম ভাড়া দিয়ে লাপাত্তা শিক্ষকরা!

 সরকারি স্কুলের ক্লাসরুম ভাড়া দিয়ে লাপাত্তা শিক্ষকরা!



বাংলাদেশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম অন্য  জেলা থেকে ধান কাটতে আসা কিছু  শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ভাড়া দিয়ে স্কুলের দুটি ক্লাসরুমে থাকছেন ওই  শ্রমিকরা। ভাড়া নেওয়া ওই  শ্রমিকরা জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা তাদের কাছে দুটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছেন। প্রতিরাতে ভাড়া ৫০০ টাকা করে পায় ৷


সরকারি স্কুলের ক্লাসরুম ভাড়া দিয়ে লাপাত্তা শিক্ষকরা!


এদিকে, ওই  স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দিয়ে লাপাত্তা শিক্ষক-কর্মচারীরা। তিনদিন আগে ওই  স্কুলের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও তা এখনো নামানো হয়নি। এমন একটি  অভিযোগ পাওয়া গেছে বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব হেউলিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।




শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনের খুঁটিতে পতাকা টাঙানো দেখতে পাওয়া যায় । ওই স্কুলের   টিন দিয়ে ঘেরা দুটি শ্রেণিকক্ষে আলো জ্বলছে। সেখানে এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, বেঞ্চ, টেবিল-চেয়ার সরিয়ে রেখে কক্ষের মেঝেতে বিছানা বিছিয়ে শুয়ে আছেন কয়েকজন ধানকাটা শ্রমিক। তাদের মধ্যে একজনের নাম মোকলেসুর রহমান। তিনি জানান আমাদেরকে ধান টাকা মেশিন নিয়ে তারা সিরাজগঞ্জ থেকে বরগুনায় এসেছেন। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় মজুরিভিত্তিকে ধান কাটার কাজ করছেন তারা।



মোকলেসুর রহমান আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) হেউলিবুনিয়া এলাকায় ধান কাটতে আসি আমরা। এই এলাকায় থাকার জায়গা না পেয়ে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে  আমরা কথা বলি। শিক্ষকরা আমাদের দুটি রুমে থাকার জন্য ভাড়া দিয়েছেন। প্রতিরাতে ৫০০ টাকা করে দিয়েই স্কুলের রুমে থাকছি।




এ বিষয়ে  জানতে চাইলে ওই  স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসমা বেগম বলেন, মানবতার দিক বিবেচনা করেই শ্রমিকদের স্কুলে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্হা করা  হয়েছে। জাতীয় পতাকা না নামানোর বিষয়ে  তিনি আরও বলেন, স্কুলের অফিস সহকারীকে আমি বৃহস্পতিবার পতাকা নামাতে বলেছি। তিনি হয়তো ভুলে পতাকাটি নামাননি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, স্কুলের ক্লাসরুম ভাড়া দেওয়াটা খুবই অন্যায় বিষয় ৷ জাতীয় পতাকা প্রতিদিন সঠিক সময়ে ওঠানো ও নামানোর কথা রয়েছে । কেন তারা এমনটা করেছেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।


No comments

Powered by Blogger.