জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাস মার্ক কত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাস মার্ক কত তা নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল অনার্স এবং প্রফেশনাল অনার্স উভয়ই কোর্সে ১০০ তে(লিখিত+ইনকোর্স) ৪০ পেলে পাস ।
জেনারেল অনার্সের ক্ষেত্রেঃ
লিখিতঃ ৮০ তে ৩২ পেলে পাস(৮০x৪০%=৩২)
ইনকোর্সঃ ২০ এ ৮ পেলে পাস(২০x৪০%=৮)
প্রফেশনাল অনার্সের ক্ষেত্রেঃ
লিখিতঃ ৭০ এ ২৮ পেলে পাস(৭০x৪০%=২৮)
ইনকোর্সঃ ৩০ শে ১২ পেলে পাস(৩০x৪০%=১২) ।
ডিগ্রি কোর্সের ক্ষেত্রেও একই রকম হিসাব করা হয় ১০০ তে ৪০ পেলে পাস
লিখিত + ইনকোর্স ২ টো তেই পাস করতে হবে ।
আপনার পাস মার্ক যতই হোক না কেন ব্যাবহারিক অথবা তত্ত্বীয় আপনি সেই টোটাল মার্ক দিয়ে ৪০% গুন করলেই পাস মার্ক পেয়ে যাবেন ।
এখন কথা হল অনেক প্রফেশনাল কোর্সের স্টুডেন্ট বলে থাকে যে আমি তেমন কিছুই লিখিনি বাট আমার ইনকোর্স নাম্বার বেশী দেয়া হয়েছে তাই হয়তো আমি কোনোরকম পাস করেছি । আবার অনেকে বলে আমিতো ইনকোর্স নাম্বার মনে পাস করিনি বাট আমার লিখিত পরীক্ষা ভালো হয়েছে তাই হয়তো আমি পাস করেছি । আবার অনেকে বলে আমার বন্ধু পরীক্ষার কোন প্রিপারেশন ছিল না শুধু ২ টা প্রশ্ন লিখছে বাট সে ফেইল করেনি D পেয়ে পাস করেছে (এরকম উদাহরন ভুরি ভুরি)।
আসলে মূল কথা হল যেকোনো বোর্ড পরীক্ষায় শিক্ষকরা কিছুনা কিছু Consider করে তানাহলে অনেক স্টুডেন্টই পরীক্ষায় খারাপ করতো । এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী সহজ করে খাতা কাটা হয় এবং নাম্বার এর ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় ২৩/২৪ নাম্বার পেয়েছে বাট ইনকোর্স নাম্বার ভাল থাকার দরুন অনেক সময় ৪০ পেয়ে পাস করছে স্টুডেন্ট রা তবে এটা সবার ক্ষেত্রে না কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাস করানোর জন্য ১ টু কনসিডার তো থাকে। এটা SSC & HSC পরীক্ষা গুলোতেও করা হয় । যেমন সবগুলো রেজাল্ট পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের হাতে আসার পর উনি হিসাব করেন যে শুধুমাত্র ১ নাম্বারের জন্য কত হাজার শিক্ষার্থী ফেইল করছে অথবা ১ নাম্বারের জন্য কত হাজার শিক্ষার্থী ১ টা বিষয়ে A+ পাচ্ছে তখন উনাদের কাছে ১ টা নাম্বার দেয়া তেমন কোন বিষয় না ওইটা পুরোটা উনাদের মর্জি তবে মূল বিষয় হল ১০০ তে ৪০ পেলে পাস(লিখিত+ ইনকোর্স) সহ এবং ২ টো তেই আলাদা আলাদা পাস করতে হবে ।
No comments