Header Ads

চাকরি না পেয়ে হতাশ যুবক, ছিঁড়ে ফেললেন একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট

 চাকরি না পেয়ে হতাশ যুবক, ছিঁড়ে ফেললেন একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট


চাকরি না পেয়ে হতাশ যুবক, ছিঁড়ে ফেললেন একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট


নাম মোঃ বাদশা মিয়া। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা। অভাব অনটনের মধ্যেও স্নাত্তক পাশে করেছেন। আর্থিক সমস্যা বেশি হওয়ায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেন নি।



আটজনের পরিবারের মধ্যে সাবার বড় বাদশা। ইচ্ছে ছিলো স্নাতক সম্পন্ন করে পরিবারের হাল ধরবে। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পরও চাকরি না আর হলো না। সেই ক্ষোভে একাডেমিক সব সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেছেন তিনি। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে শিক্ষা জীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।




ফেসবুক লাইভে বাদশা বলেন, আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়া করে খাচ্ছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সনদপত্র অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কী? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি।



বাদশা আরও বলেন, আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার না পারে অর্থের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।



বাদশার বাবা মহুবার রহমান বলেন, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় বেশ কিছু দিন থেকে হতাশায় ভুগছিল বাদশা। দিন দিন হতাশা বেড়ে যাওয়ায় সে তার একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো কাউকে না জানিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে।



প্রসঙ্গত, বাদশা পাঙ্গা চৌপতি আব্দুল মজিদ দাখিল মাদরাসা থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দাখিল, ২০০৯ সালে সোনাখুলি মুন্সিপাড়া কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে আলিম এবং ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি।






No comments

Powered by Blogger.