প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ভাইভা অভিজ্ঞতাঃ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ভাইভা অভিজ্ঞতাঃ ২০১৯
বোর্ড সদস্য ৩ জন।
প্রার্থীর নামঃ MD_Taukir_Ahammad
ডিসি মহোদয়, জেলা শিক্ষা অফিসার, এবং জেলা অাওয়ামিলীগ সহ সভাপতি।
[ প্রায় সকল প্রশ্ন ডিসি সাহেব নিজেই করেছেন ]
অনুমতি নিয়ে প্রবেশ, সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম, DPEO স্যার কাগজ গুলো নিলেন দাঁড়ানো অবস্থায় তারপর ইশারা করে বসতে বললেন।
বসার পর ধন্যবাদ দিলমঃ
DPEO SIR: কোথা থেকে পড়ালিখা শেষ করেছেন? আমি বলতে যাবো তখন কাগজ দেখতে দেখেতে তিনি নিজেই বলছেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে!
পরীক্ষক - 2:- কোন বিষয়ে পড়েছেন?
আমিঃ বললাম
DC Sir: ক্লাস ফাইভের বই দেখিয়ে..... প্রথম যে পেজ পাবে সেটা পড়ো।
আমিঃ আমি পেজ উল্টে সূচিপত্র দেখতে পেলাম সেটা পড়া শুরু করলাম। একটি পর থামতে বললেন।
DC sir: আচ্ছা ধরুন বাচ্চা কাচ্চা খুব চিল্লাচিল্লি করছে তাদের ঠান্ডা করার জন্য সুন্দর একটা ছড়া বলুন?
অামিঃ আবৃত্তির ঢঙে। আমাদের ছোট নদী...... কিছুক্ষণ পর থামিয়ে
DC sir: গান জানো? একটা গান শোনাও তো?
অামিঃ এক নদী রক্ত পেরিয়ে...... [বেশ গলা ছেড়ে গেয়েছি নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য]
DC sir : বাহ সুন্দর। ঠিক আছে বলুন তো মুক্তিযুদ্ধে জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য দিবস গুলো সিরিয়ালি বলুন?
[অাসলে উনি পুরো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো জানার জন্য প্রশ্নটা করেছিলো ]
আমি দিবস বলতে স্বীকৃতি প্রাপ্ত দিন গুলো মনে করে উত্তর দিতে শুরু করলাম।
প্রথমেই ১৬ ডিসেম্বর বলে ফেলেছি!
উনি বলছেন এর আগে কিছু নেই?।আমি বললাম স্যরি স্যার আছে
বললাম ৭ মার্চ... ২৫ মার্চ... ২৬ মার্চ.... ৯ এপ্রিল..... ১০ এপ্রিল..... ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার... ১৪ ডিসেম্বর.. ১৬ ডিসেম্বর
DC sir: ১০ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল কেন উল্লেখযোগ্য?
অামিঃ মুজিবনগর সরকার গঠন ও শপথ
DC sir : ২৫ মার্চ কি?
অামিঃ কালো রাত্রি
DC sir : না আর কি বলা হয়?
আমিঃ আমি বুঝতে পারছিলাম না মূলত সে কি জানতে চাচ্ছে। বললাম অপারেশন সার্চ লাইট। বললো ঠিক আছে
DC sir: এটি কি কোন দিবস?
আমিঃ জ্বি স্যার। গণহত্যা দিবস।
DC sir : হ্যা এটা কিন্তু সংসদে অনুমোদিত হয়েছে।
আমিঃ জ্বি স্যার
DC sir: উনি গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলোর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু র জন্মদিন ও ১৫ আগস্ট শোক দিবস এই উত্তর গুলো ও আসা করছিলো পরে তার কথায় বুঝলাম। কিন্তু তিনি তো প্রশ্ন তস করেননি প্রথমে। উনি বলছেন ১৭ মার্চ ১৫ আগস্ট এগুলো কি বললেন না কেন?
আমিঃ তার কথার প্রটেস্ট না করে বললাম স্যার ১৫ আগস্ট শোক দিবস। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন।
DC Sir: বললো ঠিক আছে! ১৭ মার্চ আর কি জন্য উল্লেখযোগ্য?
আমিঃ স্যার জাতীয় শিশু দিবস।
DC Sir: তুমি ভালো পারো জানোও ভালো কিন্তু আমি প্রাকটিস করে অাসতে হতো। ঠিক অাছে ধন্যবাদ তুমি আসতে পারো এখন। অামি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে দুইধাপ পেছনে এসে ঘুরে চলে আসলাম।
প্রাইমারী ভাইভা অভিজ্ঞতা- ২০১৯ ( আরজ আলী মাতবর সম্পর্কে বেশি প্রশ্ন)
বিষয়ঃ দর্শন
প্রথমে দরজা ধাক্কা দেওয়ার পর দাড়িয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি নিলাম।
স্যারেরা অনুমতি দেওয়ায় একটু ভিতরে ঢুকে সালাম করলাম।
ডিসি স্যার ছিলেন না। তাই একটু সাহস বেশি হলো।
চেয়্যারের কাছে দাড়াতেই স্যার বসার অনুমতি দিলেন। আমি পুরো শিওর হওয়ার জন্য অনুমতি নিয়ে বসলাম।
প্রথম পরীক্ষকঃ তুমি কোন বিষয় পড়াশোনা করেছো?
আমিঃ দর্শন।
পরীক্ষক-১ঃ বলো তো আমাদের আশেপাশে একজন দার্শনিক আছেন, তার নাম কি?
আমিঃ আরজ আলী মাতবর
ডিপিও স্যারঃ কি নাম?
আমি ঃ আরজ আলী মাতবর।
পরীক্ষক ১ঃ আরজ আলী মাতবর প্রথম জীবনে কি করতেন?
আমিঃ কৃষি কাজ করতেন। পরে আমিনী পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করেন।
পরীক্ষক ১ঃ না, উনি শ্রমিক ছিলাম।
আমি ঃ স্যার সরি, আরজ আলী মাতবর কৃষি কাজই করতেন।
পরীক্ষক ১ঃ তুমি কি ইন্টারনেট থেকে এগুলো পড়ছো?
আমি ঃ না স্যার? প্রফেসর জসীম উদ্দিনের সম্পাদনায় "আরজ আলী রচনা সমগ্র ১ ও ২ থেকে আমি পড়েছি।
পরীক্ষক ১ঃ আরজ আলী কোন ধরনের দার্শনিক ছিলেন?
আমিঃ স্যার উনি বাংলাদেশে বস্তুবাদী দর্শনের প্রবক্তা।
পরীক্ষক ১ঃ কি বলছো তুমি? আমি বলছি উনি নাস্তিক দার্শনিক নাকি আস্তিক দার্শনিক ছিলেন?
আমিঃ প্রচলিত মত অনুসারে আরজ আলী মাতবর নাস্তিক ছিলেন বলে মনে হয়। কিন্তু উনি কোথাও বলেন নি উনি নাস্তিক ছিলেন। উনি বলেছেন প্রচলিত কুসংস্কারবাদী ধর্মের বিরুদ্ধে তার অবস্থান কিন্তু প্রকৃত ধর্মের বিরুদ্ধে নয়।
পরীক্ষক ১ঃ কি বলছো তুমি? তুমি উনার বাড়ি গিয়েছো?
আমি ঃ না স্যার। আমি যাই নি। আমি বই থেকে জেনেছি।
No comments